,

শেখ হাসিনার কারাবন্দির দিন গণতন্ত্র হত্যার দিন: ওমর ফারুক চৌধুরী

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারাবন্দির দিন, জনগণের অধিকার হারানোর দিন, গণতন্ত্র হত্যার দিন। গতকাল শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার দিবস উপলক্ষে মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে গিয়েছিলেন। তাইতো বলি দেশ দিয়েছে জাতির পিতা, সাগর দিলে তুমি, পিতা দিলো স্বাধীনতা, স্বপ্ন জাগালে তুমি, বাংলাদেশের মানচিত্র পাল্টালো কে, শেখ হাসিনা, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ এখন দুই লক্ষের অধিক, জল, স্থল ও আকাশ জয় করলো কে? শেখ হাসিনা, প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ ৩য়, চীন এক ভারত দুই। হাওর-বাঁওড়, নদী-বিল ও অন্যান্য উন্মুক্ত জলাশয় থেকে আহরণ করা মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি। জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্নই এখন পূরণ করে চলেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক উপাধিটি গবেষণালব্ধ বিষয়, ২০০৯-১০ সালে যুবলীগ গবেষণা করেছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে। বিশ্ব শান্তির দর্শন একটি দলিল যা জাতিসংঘের ১৯৩ রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে, জনগণের ক্ষমতায়ন, আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক তিনিই, গণতন্ত্রের চালিকা শক্তি, হৃৎপিণ্ড। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মনে করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই হলেন জনগণের মুক্তির আলোকবর্তিকা, তিনিই বাঙালির কাণ্ডারি, তিনি আমাদের স্বপ্নসারথী, তাই আজকের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বলতে চায় তোমাকে বন্দি করে, অবরুদ্ধ করেছিল গণতন্ত্র, তুমিই জনগণের ক্ষমতায়নের মূলমন্ত্র। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারাবন্দির দিন জনগণের অধিকার হারানোর দিন, গণতন্ত্র হত্যার দিন। তুমি যখন বন্দি, তখন মানুষ অধিকারহীন, তোমার মুক্তি, জনগণের ক্ষমতায়নের দিন। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দলকে সংগঠিত করতে হবে, ঐক্য বজায় রাখতে হবে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, এড. বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল বাসার, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা: বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড: সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোহাম্মদ ইসলাম, শ্যামল কুমার রায়, রওশন জামির রানা, এনআই আহম্মেদ সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ইসমাইল হোসেন, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *